টুকুনগল্প

দেব-ডি

দিবাকরের সিনেমাটা দেখছিলাম। অর্ধেক দেখার পরেই কারেন্ট চলে যায়। ইউপিএস দেরি না করে তখনি শব্দ করা ধরে। কম্প্যুটার সাট ডাউন ক্লিক করে বারান্দায় একটা সিগারেট ধরাই। এখন প্রায় বিকেল। বাইরে একটা আকাশ দেখা যাচ্ছে। পাশের বাড়ির বারান্দায় শুকানোর জন্য কাপড় ঝুলে আছে। এছাড়া দেখতে পাই টবের গাছ, আরো নানা কিছু। আর একটু একটু দেখতে পাই কিছুটা দূরে একটা বাড়ির তিনতলার অপ্রয়োজনীয় গ্রিল আর বিকেল হয়ে যাওয়া আলোয় আবছা আবছা কেউ একজন। ভালো করে সেদিকে তাকাতে গেলে মাথা টনটন করে। তার বদলে একটা সিগারেটের রিং বানানোর চেষ্টা করি। বাতাস এসে রিং ভচকে দেয়। আবার রিং বানাই। এবারো বাতাস। সিগারেটটা তাড়াতাড়ি শেষ করি।

আশেপাশে অন্যান্য বাড়িঘরগুলো বসতি গাড়ার পর আমার ঘরে বিকেল হবার আগেই বেশ অন্ধকার অন্ধকার। মোমবাতি জাতীয় কিছু একটা জ্বালাতে হবে। রান্নাঘর অনেক দূর মনে হওয়ায় ঐসব খোঁজাখুঁজি বাদ দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি। বালিশ টানতেই ডিভিডির খাপটা মাটিতে পড়ে। মুখের সাথে বেমানান অদ্ভুত ঠোঁটের এই পোস্টার দেখে এই সিনেমা দেখার আগ্রহ জাগে নাই। দিবাকরের বলে দেখা শুরু করেছিলাম। ঠোঁট কাটিয়ে নিচে নেমে দেখি পরিচালকের নামের জায়গায় দেখি অনুরাগ কশ্যপ। আচ্ছা বোকা হই। দিবাকর ব্যানার্জীর ছবি ভেবে এতোক্ষণ দেখেছি। আবারো বোকা হই যখন মাথার কাছে আরো একটা ডিভিডির খাপ টের পাই। লাভ সেক্স অর ধোকা। যা শ্‌শালা, দিবাকরই দেখছিলাম তাহলে। কেন যে সিনেমাটার নাম দেব-ডি ভেবে নিয়েছি কে জানে।

অন্ধকার অন্ধকারে একটা সূত্র দেখি। ফ্রয়েড মিয়ার। ভুলচুক। সূত্রটা সহজ। সেক্স স্ক্যান্ডাল এমএমএস। এতোসব ইমোশনাল অত্যাচার আর দার্শনিক হিসাব বাদ দিয়ে আবার বারান্দায় যাই। এখন প্রায় সন্ধ্যা। আরো একটা সিগারেট ধরাই। রিং পাকাই। ভাঙে। আবার পাকাই। আবছা কিছু ভালো করে দেখতে গেলে মাথা টনটন করে। এদিকে রুমে গেলে একা একা বোকা হতে থাকি।