লোকটার একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ছিল। তার অনুভূতির পরিবর্তনের সাথে তার গায়ের রঙ আর শরীরের ঘ্রাণ পাল্টে যেত। জন্ম থেকে এই বৈচিত্র্য তার ছিল না। শোনা যায় স্কুলে কোনো এক অপরাধে এক শিক্ষক তাকে শাস্তি দেন। মাথায় চারটা ইট নিয়ে রোদের মধ্যে এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি। সেই তীব্র রোদে ইট থেকে চপসানো লালচে ঘাম মাথা ঘাড় বেয়ে স্কুলের সাদা শার্ট সাদা প্যান্ট লালাভ করে ফেলে। শাস্তি শেষে ক্লাসরুমে ঢোকার পর সবাই তীব্র কোন পোড়া গন্ধ পেতে থাকে। সেই থেকে শুরু।
লোকটার বিচিত্রতা মিডিয়ার খপ্পরে পড়ে। বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেলে তার পরিবার অন্য কো্নো শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়। সেখানেও কোনো না কো্নোভাবে মিডিয়া ঠিক তাকে খুঁজে বের করলে শুরু হতো অন্য শহরে যাবার এন্তেজাম। এর মধ্যে নতুন বিপত্তি শুরু হয়। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক গবেষণাগার লোকটাকে গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। টাকার বিশাল বিশাল অঙ্ক শুনে একসময় তার বাবার অপত্যস্নেহ হেরে যায়। তখন থেকেই লোকটার শরীর থেকে মৃত মানুষের গন্ধ বেরোতে থাকে। অদ্ভুত ফ্যাকাশে মৃত্যু মৃত্যু বর্ণের সেই শরীর এক রাতে ঢুকে পড়ে গবেষণাগারের ভাড়ায় চালানো কোন এম্বুলেন্সে।