টুকুনগল্প

সরীসৃপ

আমি অনেকদিন ধরে একটা গল্পের কথা ভেবেছি। মাপে খুব বেশি বড় হবে না। একটা ছোটগল্প। চরিত্রের নামধাম, গল্পের শিরোনাম কি প্লট কিছু কিছু লিখে রেখেছি আমার নোটখাতায়। ঠিক করে গোছানো এখনো হয় নি। মজার ব্যাপার, আমার গল্পের চরিত্রেরা আমার সাথে সময় সুযোগ মতো কথা বলে, আবদার করে। আমি একা ডাইনিং টেবিলে বসলে সীমা এসে বসে। বলে, ওর চরিত্রের বাচালতা একদম পছন্দ হচ্ছে না। কথা কম বলাতে হবে। বলি, ঠিক করে দিব।

আজ একটু ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কম্প্যুটারটা অন করার পর অপেক্ষা করছি। অনীল এল হঠাৎ। অভিযোগ করে, আমি নাকি আদিবার সাথে তার সম্পর্ক ঠিক করে বলতে পারিনি। জায়গাটা আবার লিখতে হবে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে ওয়ার্ডের ফাইল খুলি। সীমার কিছু কথা ছেটে ফেলে দিই। একটু ডিটেইল করি অনীল আদিবাকে। লেখা শেষে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি সীমা অনীল আর আসে নি।

দুপুরে বাসায় কেউ ছিল না। মাথাটা একটু ব্যথা করছিল। শুয়ে ছিলাম। আমার গল্পে এক সৈন্যের কথা আছে। আমিন। গল্পে লেখা – একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে সে মাত্র ফিরেছে। আমার মুখের ওপর টেনে রাখা কাঁথা সরিয়ে আমিন বলে- বস্‌, আমার আর মানুষ অইয়া থাকবার মন চায় না। আমারে সাপ-খোপ গিরিগিরি-টিকটিকি কিছু একটা বানায়া দ্যান। মানুষ অইয়া থাকন বড়ই ভ্যাজালের।