হঠাৎ কি ভেবে রাজন একটা গল্প লিখে ফেলেন। তারপর একটা প্রধান জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক বরাবর পাঠিয়ে দেন। মজার ব্যাপার কিছুদিন পরে গল্পটা ছাপাও হয়। গল্পে কাহিনী প্রায় কিছুই ছিল না। ঠিক গল্প কিনা সেই নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। তবে পাঠক এই লেখার মধ্যে নানা কিছু পাচ্ছেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিক্রিয়ার পর প্রতিক্রিয়া সাহিত্য সম্পাদক ছেপে যাচ্ছেন। সাহিত্য পাতায় নতুন লেখা ছাপিয়ে কূল পাওয়া যায় না। একই লেখার এত প্রতিক্রিয়া ছাপছেন দেখে এডিটর সাহেব সেদিন হালকা খোঁচাও দিলেন। সামনের সপ্তাহের সাহিত্য পাতায় একটা মন্তব্যের জায়গা রেখে ভাবলেন-এটাই শেষ। কি ভেবে পুরাতন পেপার ঘেঁটে মূল গল্পটা বের করেন। ঈষৎ ঈষৎ ধুলোয় একটু হাঁফ লেগে যায়। হেলান দিয়ে বসে পেপারটা ভাঁজ করে পড়তে শুরু করেন। গল্পের নাম ল্যাম্পপোস্ট।
মানু পাগলা এক-দুই-তিন ক্লাবের দরজার সামনে রাতে ঘুমায়। পুরানো একটা চটের ছালা গায়ে দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা এদিক ওদিক ঘোরে। এলাকায় সবাই তাকে চেনে। কেউ খুব একটা ঝামেলা করে না। এখান সেখান থেকে খাবার পেতেও খুব একটা অসুবিধা হয় না। মাঝে মাঝে কয়েক মাস পাগলামি একটু বেশি ভর করে। তখন এলাকার পিচ্চিরা একটু ভয় পায়। দূরে থাকে। একদিন হঠাৎ অন্যকিছু হয়। মানু পাগলা একদম সুস্থ হয়ে যায়। অগুণতি সুস্থ নগরবাসী পাগল হয়ে চটের ছালা পরে ঘুরতে গেলে নগরে চটের ছালার টান পড়ে। ……
সাহিত্য সম্পাদক সাহেব আর পড়েন না। তাঁর ঘুম পায়। হাই তোলেন।