ফার্মগেটে এক দুপুরে এক দল পিঁপড়া ওভারব্রীজ পাড় হতে থাকে। এতো এতো মানুষজনের পায়ের নিচে চাপা পড়া এড়াতে ব্রীজের রেলিং ধরে ধরে এগোয়। যাতায়াতের পথে অর্ধেক পথ কোনো গোলোযোগ প্রায় ঘটেইনা। খালি পেছনের দিকে এক পিঁপড়ে অন্যমনস্কভাবে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যায়। পরে অন্যরা সাহায্য করে তাকে তুলে আনে আর মাঝের সারিতে ঢুকিয়ে দেয়। গোলযোগ শুরু হয় মাঝপথেই। এক পঙ্গু ভিখিরির চোখে পড়ে সারিবদ্ধ পিঁপড়েদের। নিখুঁত মনোযোগ একটা ব্লেড দিয়ে মাঝ বরাবর পোচ দেয় এক পিঁপড়ার। দুই টুকরো হয়ে পিঁপড়া তড়পাতে থাকে। ভিখিরি খিলখিল করে হেসে ওঠে। পড়িমড়ি করে পালাতে থাকা পিঁপড়াগুলোর গায়ে ব্লেড দিয়ে ক্রমাগত পোচ দিতে থাকে অন্যদের হাতে পঙ্গু হয়ে পড়া দুই পা হারানো সেই ভিখিরি।
মার্কেজ মৃত হয়ে গেছেন দীর্ঘদিন। অন্তত আমার কাছে। পৃথিবী আমার কাছে মার্কেজের জগৎ নয়। জাদুবাস্তবতার কোলে আশেপাশের সবকিছুকে ঢুকিয়ে দেয়ার প্রয়োজন তাই পড়ে না। আমি গল্প লিখি যখন, নিরেট হয়ে থাকা আশপাশ আস্তে আস্তে মার্কেজের আকাশ ছেড়ে আমার আকাশে ওড়াওড়ি করে। মানুষ স্বাভাবিক গলায় কথা বলে, গালাগাল করে, সময় অসময়ে সঙ্গম করে কিংবা সঙ্গমকাতর হয়। আরো একটা ব্যাপার, আমার গল্পের কর্ণেলকে সবাই চিঠি লিখে।