আমি এককালে পড়তাম। সাথে ভাবতাম একদিন আমিও কিছু লিখব। কে যেন কানে পোকা দেয়, আরে বেশি পড়িস না অন্তত ভাল লেখকদের কিছু। তাহলে দেখবি তার ভূত তোর ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে। প্লাজিয়ারিজমের ভূত পেত্নীর ভয়ে সেই থেকে পড়ি না। রাস্তার বিলবোর্ড, ভেষজ কিংবা যৌনরোগের বিজ্ঞাপনবার্তা, দৈনিক পত্রিকা এসব অবশ্য পড়া হয়। মজার ব্যাপার এক ভেষজ বার্তা একবার আমাকে প্রভাবিত করেছিল। ভেষজ এক চিকিৎসালয়ে গিয়েছিলাম পাম্পলেটের গালগল্প পড়ে। যা বলছিলাম, পত্রিকা পড়ি তবে সাহিত্য পাতা এড়িয়ে চলি। সম্পাদকীয় উপসম্পাদকীয় কলাম পড়া হয়। কলামলেখকেরা টাকার জন্য উপর্যুপরি কলাম লিখে অনেকটা বীর্যস্খলনের বিরতিতে। ফলে ঘাড়ে চাপায় আশংকা থাকে না। এইসব পড়া না পড়ায় আমার মধ্যের লেখক একটা কিছু মৌলিক লেখা আবিষ্কারের জন্য মাঝেমধ্যে হু হা করে। শুধু হু হা-ই।
মানুষ কিছু পড়লে অন্যের অনুকরণে ভাবে। ভালো লেখক তাঁর ভেতরের ভালোমানুষি মন্দমানুষি অন্যকে গিলিয়ে এক ধরণের মজা নেয়। পাঠকদের একটা গাড্ডার মধ্যে ফেলে দিয়ে নিজে সড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে অন্য ভাবনায়, অন্য লেখায়। ভিন্ন জীবনে, জীবনযাত্রায়। তবে এটা বিশ্বাস করতে ভালোবাসি, সাদা কাগজের ওপর গুটি গুটি করে আঁকা শব্দপুঞ্জ আর্তনাদের বেশি কিছু করতে পারে না। আমি এভাবে ভাবি। ভাবতে ভালোবাসি।
আর শুয়ে থাকি।
ফিরে: গঞ্চারভের ওবলোমভ উপন্যাসের নায়ক ওবলোমভ খালি শুয়ে থাকতেন।