একলব্য অক্ষত্রিয় বলে আচার্য তাকে অস্ত্রশিক্ষা দেন না। সেই আচার্যকে কল্পনায় গুরু সাজিয়ে একলব্য নিজে নিজে অস্ত্র চালনা শিখেন। পরে একসময় কোনো এক ঘটনায় আচার্য জানতে পারেন একলব্যের অসামান্য অস্ত্রবিদ্যার কথা। আচার্য তার সামনে হাজির হয়ে বলেন- এই পোলা তোমার গুরু কিডা? একলব্য জানান- আচার্য আপনিই আমার গুরু। আচার্য বলে- ও আইচ্ছা। তাইলে গুরুদক্ষিণা দ্যাও। তোমার হাতের বুড়া আঙুলডা। একলব্য গুরুদক্ষিণা দিতে কার্পণ্য করেন না। এরপর জাঁহাবাজ বুশ ব্লেয়ার নানা জায়গায় অস্ত্রবিদ্যার কারিশমা দেখাতে শুরু করে। একলব্য পরিণত হন একটা শব্দে।
আমার মধ্যে যাবতীয় স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেলে আমি লেখার জন্য প্রস্তুত হই। একটা দৃশ্যকাব্য কল্পনা করি। সেখানে অমৃতের পুত্রসন্তানকে দেখি। পুরুষ বলে অমৃতের কন্যাসন্তানকে কখনো দেখা হয় না। পাখিপুত্রকে দেখি। আমার সাথে তার সম্পর্কের সরোবরে দেখি অমৃতের অবগাহন। আমি স্বরবর্ণ হারিয়ে ফেলি। ব্যঞ্জনবর্ণকে দূরে সরিয়ে রাখি। তারপর একটি অদৃশ্য বাক্যের শরীরে অলঙ্কার সাজাই। লোকে মন্দ বলবে বলে সালংকরা বাক্যকে পরের ঘরে দিয়ে আসি।
স্কারলেট জোহান্সান এসেছে লুইজিয়ানায়। নিউ অরলিয়েন্সে। আমার এক রুমমেটের বন্ধুর বাসায়। সে নিউ অরলিয়েন্স নিয়ে গান করবে। আমার ল্যাবে কাজকাম ছিল। থাকি বাটন রুজে। আমার রুমমেট ক্লাস বাদ দিয়ে স্কারলেটের গান শুনতে সাথে দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। যাওয়ার আগে আমার দিকে খানিকটা করুণার চোখে তাকায়। জিজ্ঞেস করে- আরেকবার ভাবো ক্লাস নিবা কিনা। আমি মুখ কালো করে ক্লাস নিতে চলে যাই। রুমমেট নিউ অরলিয়ান্সের পথ ধরে। ল্যাবে মরার মাইক্রোস্টেশন নিয়ে পোলাপানদের আঁকাউঁকি শেখাতে শেখাতে বাইরের দরজায় চোখ পড়ে। দেখি একজন ব্লন্ড মেয়ে দাঁড়িয়ে। ব্লন্ড ভাবলেই মাথায় কেনো জানি কিলবিল আর উমা থারম্যান উঁকি মারে। উমা থারম্যানের কথা ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে দেখি মেয়ে আমার পরিচিত। স্কারলেট জোহান্সান। জিজ্ঞেস করি- তোমার না নিউ অরলিয়ান্সে গান গাওনের কথা। স্কারলেট বলে- ক্লাস শেষ কর তাত্তারি। ক্লাসের পোলাপানদের একটা ড্রইং আঁকতে দিয়ে আমি বের হই। আশেপাশের লোকজন আমাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাতে থাকে। আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি স্কারলেট ব্লন্ড নয়। ওর চুল কালো। তাও স্কারলেটের সাথে আমি কিছুক্ষণ থাকি।