টুকুনগল্প

কমরেড

কমরেডের কোন কাজ নেই। জগতে তাঁর গোত্র কমতে কমতে এখন বিলীনপ্রায়। আজকাল মৃত্যু ছাড়া তাঁদের নাম কখনো পত্রিকায় আসে না। সাম্যবাদ কোকাকোলার বুদবুদের মত উবে গেছে। ব্লু-ব্লাড, প্রতিভাবান, কর্পোরেট একে অন্যের পিঠ চুলকিয়ে লাল করে ফেলে। কমরেড অবলীলায় দেখেন। শিল্পবিকাশ ঘটাতে গিয়ে কর্পোরেটরা হতদরিদ্রদের চিন্তাহীন শ্রমমেশিন বানায়। দরিদ্র কৃষক প্রান্তিক জন হতে হতে একসময় আত্মহননে নামে। কমরেডের কোন উপায় থাকে না। বিপ্লব কাঁথা গায়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কমরেডের ডায়েরির একটা পাতা আবারো অর্থহীন কথায় পূর্ণ হয়।

লেখা শেষে তাঁর খুব চায়ের নেশা জেগে ওঠে। চেয়ার থেকে উঠে হেঁটে রান্নাঘরে যান। লাইটের সুইচটা অন করেন। গতরাতের এঁটো প্লেটের ওপর অনেক তেলাপোকা খাবার সাঁটতে ব্যস্ত ছিল। কিছু কিছু ভয় পেয়ে গর্তে লুকিয়ে পড়ে। বাকিরা চোখকান খোলা রেখে কাজ চালাতে থাকে। ইদানীং রান্নাঘরের কিছু তেলাপোকা বুঝে গেছে কমরেডের হাতে বিপদের আশংকা নেই।