টুকুনগল্প

ইল

সূর্যবংশে ইল নামে এক রাজা ছিল। শিকার করতে গিয়ে বন খুব ভালো লেগে যায় বলে সে রাজত্ব ছেড়ে বনে থেকে যায়। ঘুরতে ঘুরতে এক যক্ষরাজের অনুপস্থিতিতে তার সাজানো শূন্য গহ্বর দখল করে নেয়। যক্ষরাজ অন্যান্য যক্ষ নিয়ে এসে যুদ্ধ করেও ইল রাজার সাথে পেরে ওঠে না। যক্ষরাজ যক্ষিণীকে বলে- তুমি মায়াবী হরিণী সেজে ইলকে উমাবনে নিয়ে এসো। তাহলেই আমরা গহ্বর আবার নিজেদের কব্জায় আনতে পারবো। মহাদেবের অভিশাপে উমাবনে কোনো পুরুষ গেলে সে নারী হয়ে যায়। যক্ষিণী মায়ার খেলা খেলে ইলকে উমাবনে নিয়ে আসলে ইল হয়ে পড়ে সুন্দরী ইলা। ইলা ঘুরতে ঘুরতে চন্দ্রপুত্র বুধের নজরে পড়ে। বুধ ইলাকে রাণী করে। তাদের এক পুত্র হয়। পুরূরব। জন্মের পর থেকে পুরূরব খেয়াল করে তার মা সবসময় মুখ গোমড়া করে রাখে। পরে একদিন বুধের কাছে বৃত্তান্ত জানতে পারে ইলার ছেলে। মাকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে গৌতমীগঙ্গায় স্নান করে বুধ, ইলা আর পুরূরব কঠোর তপস্যা শুরু করে। মহাদেব ও পার্বতী এসে ইলকে অভিশাপমুক্ত করে। গৌতমীগঙ্গায় আবার ডুব দিলে সুন্দরী ইলা পরিণত হয় সশস্ত্র যোদ্ধা রাজা ইলে। - গল্পটা পড়ে ‘এক্স’ চিৎকার করে বলে- পুরুষবাদ নিপাত যাক।

ইলা

পৌন্ড্রীবংশে ইলা নামে এক রাণী ছিল। শিকার করতে গিয়ে বন খুব ভালো লেগে যায় বলে সে রাণীত্ব ছেড়ে বনে থেকে যায়। ঘুরতে ঘুরতে এক যক্ষরাণীর অনুপস্থিতিতে তার সাজানো শূন্য গহ্বর দখল করে নেয়। যক্ষরাণী অন্যান্য যক্ষিণী নিয়ে এসে যুদ্ধ করেও ইলা রাণীর সাথে পেরে ওঠে না। যক্ষরাণী যক্ষকে বলে- তুমি মায়াবী হরিণ সেজে ইলাকে উমবনে নিয়ে এসো। তাহলেই আমরা গহ্বর আবার নিজেদের কব্জায় আনতে পারবো। পার্বতীর অভিশাপে উমবনে কোনো নারী গেলে সে পুরুষ হয়ে যায়। যক্ষ মায়ার খেলা খেলে ইলাকে উমবনে নিয়ে আসলে ইলা হয়ে পড়ে সুঠাম ইল। ইল ঘুরতে ঘুরতে চন্দ্রকন্যা বুধিনীর নজরে পড়ে। বুধিনী ইলকে রাজা করে। তাদের এক কন্যা হয়। পুরূরবা। জন্মের পর থেকে পুরূরবা খেয়াল করে তার বাবা সবসময় মুখ গোমড়া করে রাখে। পরে একদিন বুধিনীর কাছে বৃত্তান্ত জানতে পারে ইলের মেয়ে। বাবাকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে গৌতমীগঙ্গায় স্নান করে বুধিনী, ইল আর পুরূরবা কঠোর তপস্যা শুরু করে। পার্বতী ও মহাদেব এসে ইলাকে অভিশাপমুক্ত করে। গৌতমীগঙ্গায় আবার ডুব দিলে সশস্ত্র সুঠাম ইল পরিণত হয় সুন্দরী ইলায়। - গল্পটা পড়ে ‘ওয়াই’ চিৎকার করে বলে- নারীবাদ নিপাত যাক।

ঈল

ঈল একটি মাছ। দুই ইঞ্চি থেকে তের ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এই মাছ। আর ওজনে ত্রিশ গ্রাম থেকে পঁচিশ কিলো। পুং ঈলের পাখনা থাকে নয় থেকে বারোর মতো। স্ত্রী ঈলে থাকে দশের চেয়ে কম। পুং ঈলের বর্ণ অলিভ সবুজ। স্ত্রীদের বর্ণ হালকা হলদে-বাদামী। এসব পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও পুং ও নারী ঈল জেন্ডার সচেতন হতে আগ্রহী হয় না। লোকসমক্ষে তারা নিজেদের ঈল বলে পরিচয় দেয়।